চাকরিতে কাজের সময়টুকুও আমানত

চাকরিতে কাজের সময়টুকুও আমানত
চাকরিতে কাজের সময়টুকুও আমানত

কেউ কোথাও চাকরি নিলো এবং সেখানে পাঁচঘণ্টা বা সাতঘণ্টা সময় দেয়ার চুক্তি করলো নির্ধারিত পয়সার বিনিময়ে। এই সাত বা আটঘণ্টা সময় এখন সে বেচে দিলো। এ ক’ঘণ্টা সময় তখন সে প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে তার কাছে আমানত হিসেবে গণ্য হবে। এরপর যদি সে তার নির্ধারিত কাজের সময়ের মধ্য থেকে একমিনিট সময়ও অন্যকাজে ব্যয় করে, যার অনুমতি মালিকপক্ষের কাছ থেকে নেয়া হয়নি। তবে তা আমানতের খেয়ানত হবে। যেমন, কাজের সময় বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়স্বজন এসে গেলো। আর তার কাজের নির্ধারিত সময়টুকু সে বরবাদ করে দিলো। অথচো এই সময়টুকু তার কাছে আমানত ছিলো। আর সে তার গচ্ছিত সময়টুকু হাসি-ঠাট্টা ও কথা-বার্তায় ব্যয় করে দিলো। এটাই আমানতের খেয়ানত।এখন যদি আমরা আমাদের ব্যাপারগুলো বিবেচনা করে দেখি, তাহলে দেখবো আমরা আমাদের যে সময়টুকু কর্মক্ষেত্রে বেচে দিয়েছিলাম, সে সময়টুকু অন্যকাজে ব্যবহার করছি। অথচো এতে সবসময়ই আমানতের খেয়ানত হচ্ছে। এর ফলে মাসশেষে যে পয়সাটুকু আমরা বেতন হিসেবে পাচ্ছি, ত পুরোপুরি হালালউপায়ে নিতে পারছি না। কারণ, আমরা তো পয়সা নিচি পুরোপুরিই; কিন্তু আমার বেচা সময়ের তো পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করছি না।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *